ছবি সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সূর্যতরুণ শিক্ষাঙ্গন আনাসিক স্কুল এন্ড কলেজ’
এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের শেষ অংশে ‘কলেজ’ শব্দ লেখা রয়েছে। ২০০৪ সালে স্কুল থেকে কলেজে উন্নীত হয়। এবার একাদশ শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। ভর্তির জন্য কেউ চেষ্টাও করেনি।
দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৬ জন শিক্ষার্থী থাকলেও তারা গত এক বছরে একটি ক্লাসও পায়নি। এমনকি তারা একাদশ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য কলেজ বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিলেও স্কুল/কলেজের বৈষম্যের কারণে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ক্লাসের কোনো খোঁজ খবর নেয় না। শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষক ঠিকমতো ক্লাসে আসছে কিনা—এর তদারকিও কেউ করে না।
ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ১১ জন শিক্ষার্থী কিছুদিন ক্লাস করে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
ওই ১১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে যেসব শিক্ষার্থী ফেল করবে তাদের দায় কে নেবে? নিয়মিত ক্লাস হবে এমন শর্তে তাদের ভর্তি করা হয়েছিল। এসব কথা বাদ দিলাম।
এক বছর ধরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন গভর্নিংবডি নেই। ১৫ বছর ধরে অধ্যক্ষ নেই।জয়নাল আবেদীন বিএসসি গত জুলাই থেকে রোটিন দায়িত্বে আছেন।কোন প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/অধ্যক্ষ না থাকলে দায়িত্ব পালন অত্যন্ত কঠিন।যিনি অনেক চেস্টার পরেও সফলতার দারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারেননি,চেস্টা অব্যাহত রেখেছেন।সকলের সম্মিলিত প্রচেস্টায় একটি প্রতিষ্ঠান আলোর মুখ দেখতে পারে।কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কোন প্রতিষ্ঠান সফলতায় পৌঁছাতেতে পারেনা।দীর্ঘদিন যাবত স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট কলেজ শাখার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকা পরে আছে।অফিস সহকারী কাগজপত্র নিতে ব্যর্থ হয়েছেন।মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে একাধিকবার অবহিত করার পরেও কোন সমাধান হয়নি।একজন অফিস সহকারীর পক্ষে একটি কলেজ পরিচালনা করা অসাধ্য। অত্র প্রতিষ্ঠানে ইতিপূর্বে রেকর্ডভূক্ত জমি না থাকায়,এলোমেলো ছিল।আবুল হোসেন তালুকদার জমির অভাব পূরণ করেছেন।এর পরেও প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বাধা থাকার কথা নয়।
কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আপনাদের কি এক্ষেত্রে কোন দায় নেই?
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার এর কাজ হচ্ছে—কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিংবডি বা পরিচালনা পর্ষদ আছে কিনা, ঠিকমতো ক্লাস হচ্ছে কিনা—এটার তদারকি করা। আপনাকে একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কমপক্ষে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি করা হয়েছে। চাকরির বাইরে লাভজনক এসব কাজ ঠিক মতোই করছেন। কিন্তু ঠিকমত চাকরি করছেন না। শিক্ষা কর্তৃপক্ষ। আপনারা কি ঘুমিয়ে আছেন?একটু জেগে উঠুন। প্রতিষ্ঠানকে বাঁচান। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বাঁচান।